বাংলার রূপ প্রতিবেদনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুসলিম ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী মোস্তফা আসিফকে গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন দেওয়ার ঘটনায় আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।
দলটি বলেছে, পবিত্র রমজান মাসে একজন মুসলিম ছাত্রীকে হেনস্তা করার পর উত্ত্যক্তকারীকে ধর্মীয় স্লোগান দিয়ে থানা থেকে ছাড়ানোর অপচেষ্টার ধারাবাহিকতায় বিস্ময়কর দ্রুততার সঙ্গে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে কুরআন মজিদসহ জনসম্মুখে উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ছড়িয়ে মুসলমানদের হত্যাযোগ্য করার গভীর নীল নকশার অংশ দাবি করে এর নেপথ্যে আসিফ নজরুলের ভূমিকা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের রাজনৈতিক প্রধান মো. আনিছুর রহমান ও সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. আসিফ নজরুল আইন উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী, জঙ্গি, অপরাধী ও উগ্র উত্ত্যক্তকারী একের পর এক জামিনে মুক্তি পাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুসলিম ছাত্রীকে উত্ত্যক্তকারী মোস্তফা আসিফকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এই আসামি মুসলিম ছাত্রীকে তার পোশাক নিয়ে রাস্তায় হেনস্তা করেন। ছাত্রীটি এ নিয়ে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেন। পরে শিক্ষার্থীরা আসামি আসিফকে আটক করে প্রক্টর অফিসে সোপর্দ করে। তখন তিনি সবার সামনে ওই ছাত্রীকে হেনস্তার করার কথা স্বীকার করেন। পরে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু আসামি আসিফকে মুক্ত করতে শাহবাগ থানায় একদল উগ্রপন্থি উপস্থিত হয়ে অন্তত আট ঘণ্টা অবস্থান করে। পরবর্তীতে দেখা যায় হেনস্তার শিকার ছাত্রী মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন এবং আসামি আসিফ জামিনে মুক্তি পেয়েছে। তখন তাকে ফুলের মালা পরিয়ে কুরআন মজিদ হাতে ধরিয়ে উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে, যা ঘটেছে তা পূর্ব পরিকল্পিত নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়।
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, পূর্ব পরিকল্পিত নাটকের প্রধান এপিসোড হলো উগ্রপন্থিদের দাবির মুখে অজামিনযোগ্য মামলায় দ্রুততার সঙ্গে আসামিকে জামিন প্রদান এবং উগ্রপন্থিদের উল্লাস। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এর দায় কোনো ভাবেই এড়াতে পারেন না।
Leave a Reply