1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তালতলীর ডিসি পয়েন্টে পর্যটনের সীমাবদ্ধতা চৌদ্দগ্রামে স্কুল মাঠের পাশের ‘নর্দমা’কে লেক’ এ রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে পৌর প্রশাসন সুনামগঞ্জে ‘”তওহীদ ভিত্তিক রাষ্ট্রই শ্রমজীবীর অধিকার প্রতিষ্ঠার একমাত্র সমাধান”’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লার সীমান্তে ৫ কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ডিসপ্লে জব্দ হিলি সীমান্তে প্রায় ৭ লাখ টাকার নেশাজাতীয় ইঞ্জেকশন জব্দ আওয়ামীলীগ পালায় না,শেখ হাসিনা পালায় না কোথায় এখন? প্রশ্ন রাখেন মেজর হাফিজ বিশ্বাসযোগ্য একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান ছাড়া জাতির সামনে বিকল্প কিছু নেই বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এর ৫৪ তম শাহাদত বার্ষিকী পালন নাজিরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কালীগঞ্জে পথসভায় সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন: জনগণের পাশে থাকতে চান আবারও

নিজ খরচে কোরবানির পশু পাঠাচ্ছেন দরিদ্র দেশে

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩১ মে, ২০২৫
  • ১১৯ বার

বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঈদুল আজহার মহিমা কেবল নিজ পরিবার বা শহরেই সীমাবদ্ধ নয়- এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে পৃথিবীর দরিদ্রতম জনপদেও। এমনই এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী ৭৮ বছর বয়সী ভারতীয় মুসলমান হুসেইন আহমেদালি নলওয়ালা।

যখন আমিরাতজুড়ে মুসলমানরা ঈদের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন এই প্রবীণ প্রবাসী আফ্রিকার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষদের মুখে কোরবানির হাসি ফোটাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

নলওয়ালা গত পাঁচ বছর ধরে ঈদুল আজহার সময় নিজ খরচে কোরবানির পশু জবাই করে এর গোশত বিলিয়ে যাচ্ছেন ইয়েমেন, সোমালিয়া, সুদান ও ইথিওপিয়ার মতো দরিদ্র মুসলিমপ্রধান অঞ্চলে।

এক সময় শারজাহের আঙ্কর অ্যালাইড ফ্যাক্টরির প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। অবসরের পর গড়ে তুলেছেন ‘দ্য নলওয়ালা ফাউন্ডেশন’, যার মাধ্যমে চলছে এই মহতী কাজ।

নলওয়ালার জীবনে মোড় আসে পাঁচ বছর আগে ইয়েমেন সফরের সময়। ভয়াবহ দারিদ্র্যের চিত্র দেখে তিনি ঠিক করেন- জীবনের বাকি সময়টি তিনি ব্যয় করবেন দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে। তিনি বলেন, ঈদের বরকত যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোর মানুষও অনুভব করতে পারে, সেটাই আমার লক্ষ্য।

তার এই উদ্যোগে উটও কুরবানি দেওয়া হয়। একটি উটের গোশত প্রায় ৩০০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা যায়, যারা বছরের পর বছর মাংসের স্বাদ পায় না। কুরবানির প্রতিটি পশু নির্বাচনের সময় স্বাস্থ্যপরীক্ষার ছবি তোলা হয়, যাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত থাকে এবং প্রাপকরা সম্মান ও মর্যাদাসহকারে গোশত গ্রহণ করতে পারেন।

শুধু আফ্রিকাই নয়, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সুম্বল, বান্দিপুর, কারগিল অঞ্চলেও কুরবানির পশু পাঠান নলওয়ালা। মুম্বাইয়েও ছাগল কুরবানি দিয়ে প্রায় ১,৫০০ মানুষের মাঝে গোশত বিতরণ করেন তিনি। এমনকি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দীপাবলিতেও তিনি মিষ্টি ও উপহার পৌঁছে দেন দুবাই ও শারজাহর শ্রমিক আবাসগুলোতে।

মুম্বাইয়ের বোইসারে গড়ে তুলেছেন একটি বৃদ্ধনিবাস, যেখানে আশ্রয় পান পরিত্যক্ত ও অসহায় প্রবীণরা। শুধু আশ্রয়ই নয়, এই বৃদ্ধদের বিভিন্ন কাজে যুক্ত করে সমাজে অবদান রাখার সুযোগ করে দেওয়া হয়।

নলওয়ালার কথায়, ঈদ শুধু উৎসব নয়, এটি আত্মত্যাগ ও সহানুভূতির সময়। দান আমার কাছে উৎসব নয়, এটি জীবনধারা। প্রকৃত দান মৌসুমি হয় না, বরং এটি জীবনচর্চার একটি মূল ভিত্তি হওয়া উচিত।

এই নিবেদন মুসলিম সমাজের জন্য এক বড় অনুপ্রেরণা। কুরবানির প্রকৃত শিক্ষা—আত্মত্যাগ, সহানুভূতি ও সেবার—তিনি নিজের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। সূত্র : খালিজ টাইমস

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews