রাসেল আদিত্য: দুঃসহ হয়ে ওঠা যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নারায়নগন্জ শহরে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নামতে হলো।ছোট্ট এই শহরে একইসাথে মানুষ,গণপরিবহনের সংখ্যাধিক্য বেলা বাড়ার সাথে সাথে এক চরম অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।প্রতিদিন একই পরিস্থিতিতে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থায় নগরবাসী।দুঃসহ যানজট ঘন্টার পর ঘন্টা শহরকে স্থবির করে রাখে।এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নগরীর সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।ইতিপূর্বে নেওয়া বহু উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ায় আজ ২৭ মে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যগণ পুলিশের পাশাপাশি থেকে যানজট নিয়ন্ত্রনে কাজ করতে শুরু করেছেন।শহরে এসে এই দৃশ্য দেখে যারপরনাই অবাক ও খুশি হয়েছেন নগরবাসী।সকলেই এতে বেশ স্বস্থি প্রকাশ করে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
যানজট এই শহরের পুরনো সমস্যা হলেও গত কয়েক মাস ধরে পরিস্থিতি ক্রমশঃই বেড়ে গিয়ে রীতিমতো দুঃসহ অবস্থায় এসে পৌঁছায়।মাত্র দশ মিনিটের পথ রিক্সায় চড়ে যেতে এখন কমপক্ষে ঘন্টাখানেক সময় লাগছে।যানজটের কবলে পড়ে স্থানীয় মানুষদের দৈনন্দিন কাজকর্মে এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।এতে করে তাঁরা অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন।এই অনাকাঙ্ক্ষিত সময়ক্ষেপণ কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতির কারণ হচ্ছে না, বরং শহরের সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিকেও শ্লথ করে দিচ্ছে।
এহেন পরিস্থিতিতে শহরের যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পাশাপাশি সেনাবাহিনীর এই অংশগ্রহণ নগরবাসীর মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।সরেজমিনে এই প্রতিবেদক প্রায় ঘন্টাখানেক নগরীর ২নং রেলগেইট এলাকায় অবস্থান করে বেশ উন্নতির চিত্র দেখতে পেয়েছেন।সেনাবাহিনীর সদস্যরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের কাজে যুক্ত হওয়ায় নগরবাসী ও পরিবহনের চালকদের মধ্যে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে।তাঁরই ফল হলো,গত কয়েক মাসের মধ্যে আজই সবচেয়ে কম যানজট ছিলো নারায়নগন্জ শহরে।বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে প্রায় সকলেই সেনা সদস্যদের উপস্থিতি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে বলে মনে করছেন।
রাহা ইসলাম নামের এক কলেজ ছাত্রী বলেন, তিনি আশা করছেন,সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং শহরের যানজট সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শরিয়তউল্লাহ জানান,অবৈধ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ,অপরিকল্পিত পার্কিং বন্ধ করা, ফুটপাতকে দখলমুক্ত করা এবং ট্রাফিক আইন প্রয়োগে কঠোরতা আনা হলে এই সমস্যা থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
Leave a Reply