নিজস্ব প্রতিবেদক :: কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের গুনবতী এলাকার ঐতিহ্যবাহী দশবাহা গ্রামবাসীর উদ্যোগে স্হানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার (১ মে) দিন ব্যাপী প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অংশ গ্রহনে প্রীতি সমাবেশটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কুরআনিক সাইন্স ও ইসলামি ষ্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড, নাসির উদ্দীন মিয়াজী।
আবদুল আউয়াল সবুজ ও মোঃ আবু নছরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাগ্রন্থ আল কোরানুল কারিম তেলাওয়াত করেন মু, সাব্বির আহমেদ,কোরআনুল কারিম থেকে দারস পেশ করেন,মাওলানা আবদুল মজিদ। ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন,মু, শাহীন উদ্দীন। প্রীতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ। অনুষ্ঠানে দশবাহা গ্রামের অতীত ইতিহাস,ঐতিহ্য কৃষ্টি, কালচার -সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করেন, দশবাহা গ্রামের সূর্যসন্তান,চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার মোঃ আলমগীর হোসেন শিমুল, সাবেক চেয়ারম্যান, মোঃ আব্দুল খালেক, সাবেক ব্যাংকার মোঃ আব্দুল হাই, গুণবতী জনতা ব্যাংক সাবেক সহকারী ম্যানেজার, মোঃ নোমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক , মোঃ মাইন উদ্দীন ভূঁইয়া,ব্রুনাইয়ের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আবু তাহের, মোঃ কামরুল হাসান ভূঁইয়া,আব্দুল আহাদ( মানিক মাষ্টার), বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আবুল কালাম, মরহুম মুকবুল আহমেদ চেয়ারম্যানের সুযোগ্য সন্তান মোঃ হারু উর রশিদ (বাবুল),মুফতি মোঃ ইয়াহিয়া ও মোঃ আইয়ুব মাস্টারসহ দশবাহা গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্গ।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে উপস্হিত দর্শকদের মন কেড়েছেন,দশবাহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রাইছা বিনতে হারুন ও একই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আবীর চন্দ্র সুত্রধর।
বক্তারা বলেন, বিগত ১৫ বছরে দশবাহা গ্রামের অতীত ঐতিহ্য থেকে গ্রামবাসী দুরে সরে যাওয়ায় আজ পুরো গ্রামের সামাজিক ব্যবস্হায় অবক্ষয় দেখাদিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছ,মাদকের ভয়াবহ ছোবলে যুব সমাজ ক্ষত- বিক্ষত হয়ে পড়েছে। সামাজিক অবক্ষয়ের কারনে শিক্ষাঙ্গন থেকে এ গ্রামের ছাত্র/ছাত্রীদের ঝরে পড়ার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামের প্রায় পরিবারে ঝগড়া বিবাদের কারণে মামলা মোকদ্দমা সৃষ্টি হওয়ায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। দুঃখ প্রকাশ করে বক্তারা বলেছেন, গ্রামের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আজ খালি পড়ে আছে। প্রতিটি বাড়ি ঘরে গিয়ে কোমল মতি শিশুদেরকে স্কুল ও মাদ্রাসা মুখি করার জন্য বিশেষ ব্যবস্হা নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।