মোনায়েম ফরাজী মুন্না: চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় বরিশাল বিভাগের কেন্দ্রভূমি (প্রবেশদ্বার) বাকেরগঞ্জকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে দক্ষিণ বঙ্গের সামাজিক সংগঠন গর্বের বাকেরগঞ্জের পক্ষ থেকে আজ ২৮ এপ্রিল দুপুর ১১ ঘটিকায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
গর্বের বাকেরগঞ্জ পৌর শাখার আহ্বায়ক বিক্রম দাস এবং সদস্য সচিব এবং আরো অনেক নেতৃত্ববিন্দ,
গর্বের বাকেরগঞ্জের সদস্যরা মনে করেন, ভৌগলিক অবস্থান, ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় বরিশাল বিভাগের বাকেরগঞ্জেই চীন-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণের করা উচিৎ। ঢাকা-চট্টগ্রাম-খুলনা-সিলেট-রাজশাহীর মতো বড় বড় শহরগুলোর তুলনায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় অনেক পিছিয়ে। নদীপথে যোগাযোগের অসুবিধা, চিকিৎসক সংকট এবং পর্যাপ্ত হাসপাতালের অভাবে এ অঞ্চলের মানুষকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হলে তা হবে সরকারের একটি দূরদর্শী সিদ্ধান্ত, যা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করবে।
বাকেরগঞ্জের অবস্থান পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এবং বরিশাল সেনানিবাসের কেন্দ্রেই অবস্থিত। বাকেরগঞ্জ কে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বলা হয়। বাকেরগঞ্জ থেকে চতুর্দিকে সড়ক ও নৌ পথে যাতায়াত ব্যবস্থা মোটামুটি ভালো এবং সহজ। বাকেরগঞ্জে যদি চায়না ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে অত্র বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠির লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। অন্যদিকে বরিশাল সেনানিবাসের দেশ প্রেমিক সৈনিক, পায়রা সমুদ্র বন্দর ব্যবহারকারী এবং সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার পর্যটকরা দ্রুতই আধুনিক, কম সময়ে ও উন্নতমানের সুচিকিৎসা পাবেন বলেও গর্বের বাকেরগঞ্জ মনে করেন।
Leave a Reply