মোঃ তুহিনঃ ভোলার তজুমদ্দিনে সন্ত্রাসী গফুর বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে দুই জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক। উপজেলার ডাওরীর হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে এ হামলা চালায় গফুর ও তার লোকজন। গতকাল (১৬ এপ্রিল) উপজেলার ডাওরীর হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ডাওরীর হাট এক বছরের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা পান চাঁদপুর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মোঃ রবিউল ইসলাম। গত পহেলা বৈশাখ হাটে ইজারা তুলতে গেলে বাধা দেয় গফুর ও তার লোকজন। এ সময় বাজারে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করে তারা। গরুর ব্যাপারিদের বাজার থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়।
এ সম্পর্কে, ইজারাদার রবিউল ইসলাম জানান, আমরা সরকারি বিধিমোতাবেক বাজার ইজারা পেয়েছি, কিন্তু সন্ত্রাসী গফুর ও তার বাহিনী আমাদের বাজারে কালেকশন করতে দিচ্ছে না। আজকে (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় সন্ত্রাসী অরবিন্দ দে টিটুর সহযোগীতায় সে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের লোকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আহত করেছে।
আহত নাজমুল জানান, আমরা আজকে হাটে এসে খবর পাই গফুর ও তার বাহিনীর লোকেরা পথে পথে হাটে গরু আসতে বাঁধা দিচ্ছে। মুচিবাড়ির কোনায় গেলে গফুরের ভাই জিয়া ও তার লোকজন আমাদের উপর রাম দা, বগি ও হকিস্টিক দিয়ে হামলা করে, আমাদের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
গরু ব্যবসায়ী সোলাইমান জানান, গত ত্রিশ বছর আমি এ বাজারে ব্যবসা করি, কখনো এমন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড দেখি নাই। এমন হলে অচিরেই মানুষ এ হাট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে। সরকারও তার রাজস্ব হারাবে।
গফুর নিজেকে বিএনপির অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা দাবী করলেও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তা অস্বীকার করেন। তারা জানান, উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়ন এর বেপারি কান্দির মৃত মোঃ আলির ছেলে মোঃ গফুর। এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, দখলবাজি ও নারী গঠিত বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত।পরিবারে সবাই আওয়ামী লীগ করলেও পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র গফুর বিএনপির পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কাজ করে বেড়াচ্ছে। এর আগে, তার ভাইদের দাপট দেখিয়ে আওয়ামী লীগের সময় তজুমদ্দিন উপজেলা মৎসজীবি দলের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন কে পিটিয়ে আহত করে সে। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। নিজেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি দাবী করা গফুর এখন জনমনে এক আতংকের নাম।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ দেবনাথ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
Leave a Reply