শেখ মাহতাব হোসেন: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় ডোমরার নামের একটি খালে দীর্ঘ এক দশক ধরে জমে আছে কচুরিপানা। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি খাল নাকি একটি সবুজের গালিচা বিছানো পথ, অথবা একটি বিশাল মাঠ। এক সময় খালটির পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও বর্তমানে কচুরিপানায় তা বন্ধ হয়ে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুই পাড়ে বসবাসরত বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার ডোমরার খালের কচুরিপানা অপসারণ করতে এলাকার ভূক্ত ভোগী মানুষ ইউ পি চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিকট আবেদন নিবেদন করে আজ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি।
ফলে দিনদিন ওই খালটিতে কচুরিপানার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তির চরমে পৌঁছেছে খালটির দুই পাড়ের দুটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ডোমরার নামক খালটির দুই পাড়ে অন্তত ৯টি গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করেন। এসব বাসিন্দাদের পানির চাহিদা পূরণে খালটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও কচুরিপানার কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। পানি দূষিত হওয়ার ফলে বিভিন্ন গবাদিপশুর গোসল করানোসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না এ খালটির পানি। এ ছাড়াও আটকে থাকা কচুরিপানায় দূষিত হওয়া পানির কারণে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে হরহামেশাই আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গনেশ বিশ্বাস নামের বামুন্দিয়া এলাকার এক বাসিন্দা আমাদের ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেন কে বলেন, প্রায় ৭ থেকে ৮বছর ধরে খালের মধ্যে কচুরিপানা জমে আছে। এ খালে যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা মাছ ধরতে পারছেন না। আবার অনেকের গরু-ছাগল আছে কিন্তু কচুরিপানার কারণে খালের পানিতে গোসল করাতেও পারছেন না। তবে যাদের টিউবওয়েল আছে তারা সে পানিতেই গোসলসহ সব কাজ করতে পারছেন। কিন্তু যাদের টিউবওয়েল নেই তাদের অনেক সময় বাধ্য হয়ে খালের দূষিত পানিই ব্যবহার করতে হয়। এলাকাবাসীর এমন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেও এখন পর্যন্ত কেউ খালটির কচুরিপানা পরিষ্কারকারের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি বলেও জানান তিনি।
টিপনা এলাকার বাসিন্দা হারান দাস বলেন, কচুরিপানার কারণে খালের পানি নষ্ট হওয়ায় এলাকার কেউ এ পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। এ ছাড়া দূষিত পানির কারণে মশা-মাছি জন্মে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে হয় আমাদের। আমাদের দাবি এ খালে জমে থাকা কচুরিপানা দ্রুত অপসারণ করা হোক। এব্যাপারে আমরা দাস পাড়াও জেলেপাড়ার লোকজন ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের টিপনা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউ পি সদস্য মোঃ মহসিন শেখ কাছে গেলে আমাদের কথায় কোন কর্ণপাত করেনি।
বামুন্দিয়া গ্রামের মৃত্যু লক্ষন বিশ্বাসের স্ত্রী লিপি বিশ্বাস বলেন, বছরের পর বছর আমাদের এ খালের মধ্যে কচুরিপানা জমে আছে। কেউ এর সমাধানের কাজ করেন না। নদীর দুই পাড়ে আমরা যারা বসবাস করি তারা এখন মশা-মাছির কারণে রাতে ঠিকভাবে ঘুমাতেও পারি না। এ ছাড়া শুকনো মৌসুমে আমাদের অনেকের পুকুরের পানি শুকিয়ে যায়। পানির প্রয়োজনে বিকল্প হিসেবে তখন খালের দূষিত পানিও ব্যবহার করতে পারি না। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদেরকে পানির ভোগান্তিতে থাকতে হয়।
এ অবস্থায় ডোমরার খালের কচুরিপানা অপসারণে এলাকাবাসীর দাবি ও খালটির পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন খর্নিয়া ইউনিয়নের ৭/৮কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ডোমরার খালে জমে থাকা কচুরিপানা অপসারণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কে ডোমরার খালে জমে থাকা কচুরিপানা অপসারণের নির্দেশ দিয়াছি ওআমি মনিরামপুর উপজেলায় ৭ লক্ষ টাকার একটি মেশিন অর্ডার দিয়াছি শিগগিরই মেশিন আসলে কচুরিপানা অপসারণের ব্যবস্থা হবে।
শেখ মাহতাব হোসেন।
ডুমুরিয়া খুলনা।
মোবাইল নাম্বার ০১৭১১৩৬৪৪৩১
Leave a Reply