কাজী আরিফ হোসেনঃ কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাব (রেজিঃ নং ৪০০) সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মজুমদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার চৌদ্দগ্রাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, গত ২৩ই জুলাই রাত প্রায় ১০ টার সময় চৌদ্দগ্রাম বিজয়করা শাহাজান মার্কেট নামক স্থানে অন্ধকারে কয়েকজন এসে গাড়ির গতিরোধ করে। অতঃপর সন্ত্রাসী জাকারিয়া রাসেল লাঠিশোটা দিয়ে গাড়ি ভাংচুর করেন এবং আতংক সৃষ্টি করেন।
পরবর্তীতে রকি চৌধুরী নামে একজন টানা হেচঁড়া করে আবুল কালামকে তার ব্যবহৃত ট্রেচারে দিয়ে মারধর করেন। উল্লেখ্য যে, সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদার গত ২০২২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ভয়াবহ দূর্ঘটনার শিকার হয়ে আহত হয়ে ঢাকা পংগু হাসপাতালে অপারেশন করে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যিনি বর্তমান স্বাভাবিক চলাচলে অক্ষম, হাঁটা-চলা করতে ট্রেচারে সহায়তা নিতে হয়। বর্তমানে সাংবাদিক আবুল কালাম মজুমদারের হিপ জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করতে হবে।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন লালমাই উপজেলা বাগমারা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। তিনি এ ঘটনার অন্যতম অর্থের যোগানদাতা। জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনার ভিডিও করে ভাইরাল করে অসম্মানিত করার চেষ্টা করেন।
আলোচিত অপহরণের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, অভিযোগকারী সাংবাদিকতার শুরু থেকে বিভিন্ন অপরাধ অপকর্ম, চাঁদাবাজি, চোরাচালান, মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছেন। যার ফলে এলাকায় সাংবাদিক আবুল কালাম ব্যাপক সুনাম অর্জন করে আসছে।
জানা যায়, বিভিন্ন সময় সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের সাথে তর্ক বির্তক চলে আসছে। ওইদিন রাতে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে অভিযুক্তরা যৌথ ভাবে ভিডিও টি ফেসবুকে পোস্ট করলে, সারাদেশে এটা নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রচারিত ভিডিও তে অভিযুক্ত জাকারিয়া রাসেলের স্পষ্ট বক্তব্য বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। কাউকে জিম্মি করে বক্তব্য দিতে বাধ্য করে সোস্যাল মিডিয়া প্রচার যাহা ডিজিটাল নিরাপদ আইন বা সাইবার ক্রাইম আইনের পরিপন্থী।
এই নিয়ে আবুল কালাম মজুমদার বলেন এঁরা দীর্ঘদিন থেকে আমাকে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে আক্রমণাত্মক আচরণ করে আসছেন।
Leave a Reply