রাসেল আদিত্য,স্পোর্টস ডেস্ক: ঊনিশতম ওভারে ১৮ রান তুলে শেষ ছয় বলে ১৩ রান চাই শিরোপা জিততে লাহোরের।উইকেটে কুশল পেরেরা ও সিকান্দার রাজা।ফাহিম আশরাফ প্রথম বলটি ওয়াইড করলেন।ওভারের প্রথম বৈধ বল থেকে সিঙ্গেলস নিয়ে কুশল পেরেরাকে স্ট্রাইক দিলেন রাজা।দ্বিতীয় বলটিকে নিশ্চিত চার থেকে বাঁচালেন ফিল্ডার নওয়াজ।
দুই রান পেলেন কুশল।তৃতীয় বলে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বর করে এক রান পেলেন পেরেরা।
তিন বলে আট রান চাই লাহোরের।চতুর্থ বলটি অফস্ট্যাম্পের বাইরে করলেন ফাহিম।পয়েন্টের উপর দিয়ে বল পাঠিয়ে ছয় রান পেলেন রাজা।
পন্চম বলটি ইয়র্কার লেংথে করলেও রাজা সেটিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতেই শিরোপা জয়ের বুনো উল্লাসে মেতে উঠলেন লাহোরের ক্রিকেটার,ষ্টাফ ও গ্যালারীর দর্শকেরা।এক বল হাতে রেখেই ২০২ রানের লক্ষ্য ছাড়িয়ে চার উইকেটে ২০৪ রান করে শিরোপা জিতে নিলো শাহিন শাহ আফ্রিদির লাহোর।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরুতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে হাসান নওয়াজের ৪৩ বলে ৭৬ রানের কল্যানে বিশ ওভারে নয় উইকেটে ২০১ রান করতে সমর্থ হয় কোয়েটা।দারুণ ইনিংসটিতে আটটি চার ও চারটি ছয় মারেন নওয়াজ।শেষ দিকে ফাহিম আশরাফ মাত্র ছয় বলে দুই চার ও তিন ছক্কায় ২৮ রান করলে কোয়টার রান দুইশো পেড়িয়ে যায়।লাহোরের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি ২৪ রানে তিনটি উইকেট নেন।একাদশে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি রিশাদ একটি উইকেট নেন।
২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন দুই ওপেনারের একজন ফখর জামান।দলীয় ৮৫ রানে ফিরে যান অপর ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।২৭ বল থেকে ৪৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন তিনি।একটা বাউন্ডারির সাথে ছয়টি ছয়ের সাহায্যে এই রান করেন।দলীয় ১১৫ রানে আউট হয়ে যান আব্দুল্লাহ শফিক।২৮ বলে ৪১ রান করে আউট হন শফিক।
সতেরো নম্বর ওভারের চতুর্থ বলে ভানুকা রাজাপক্ষে আউট হয়ে ফিরে গেলে শিরোপা জেতার জন্য লাহোরের সমীকরণ দাঁড়ায়
২০ বল থেকে ৫৭ রান।কুশল পেরেরা ও সিকান্দার রাজার অনবদ্য ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত সেই সমীকরন মিলিয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে ভাসান দল ও সমর্থকদের।
কুশল পেরেরা ৩১ বলে অপরাজিত ৬২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান।হাসান নওয়াজ আসরের সর্বোচ্চ ৩৯৯ রান করে প্লেয়ার অফ দ্য টূর্নামেন্টের পুরস্কার পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:-
কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস:- ২০১/৯(২০) হাসান নওয়াজ ৭৬,ফাহিম আশরাফ ২৮*,শাহিন শাহ আফ্রিদি ৩/২৪।
লাহোর কালান্দার্স:- ২০৪/৪(১৯.৫) কুশল পেরেরা ৬২*, মোহাম্মদ নাঈম ৪৬, রাজা ২২*।
ফলাফল :- লাহোর কালান্দার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অফ দ্য ফাইনাল:- কুশল পেরেরা।
প্লেয়ার অফ দ্য টূর্নামেন্ট:- হাসান নওয়াজ।
Leave a Reply