মোঃ রবিউল মুন্সীঃ: বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করতে এবং প্রকৃত বিজয়ীকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার দাবিতে বরিশাল জেলা জজ আদালতের সামনে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে মেয়র ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে এই কর্মসূচি আয়োজিত হয়।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে আলোচিত মুফতি ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, প্রশাসনিক প্রভাব ও নির্বাচনী অনিয়মের কারণে জনগণের ভোটের প্রকৃত ফলাফল পরিবর্তন করা হয়েছে। জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে প্রার্থীদের মধ্যে মুফতি ফয়জুল করীমকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়, যা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একেবারেই মেনে নেওয়া হয়নি।
এ অবস্থায় আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, নির্বাচনে তাদের প্রার্থী জনগণের বৃহৎ অংশের সমর্থন পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক কারসাজি ও নির্বাচনী সহিংসতার মাধ্যমে প্রকৃত বিজয়ীকে বাদ দিয়ে অনৈতিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তারা বলেন, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণ ও আইনি প্রক্রিয়ায় আমাদের দাবি তুলে ধরছি। যদি এই ভুল ফলাফল বাতিল না করা হয়, তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পর্কে জনগণের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’’
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন—
“আমরা শান্তিপূর্ণ পথেই ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাব। যদি আইনের মাধ্যমে আমাদের দাবি পূর্ণ না হয়, তবে আমরা বরিশালের জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।”
এদিনের কর্মসূচিতে জানানো হয়েছে, ৫ মে ২০২৫ তারিখে এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালত কর্তৃক নির্ধারিত রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন।
সমাবেশ শেষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয় যাতে এই আন্দোলন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সফল হয়।
এদিকে, জনমনে রয়েছে গভীর আগ্রহ এবং আশাবাদ, আগামী ৫ মে রায়ের তারিখকে কেন্দ্র করে বরিশালের জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে এবং আইনি পথে তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একযোগে দাঁড়িয়ে থাকবেন।
Leave a Reply