নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজধানীর পল্লবীতে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে একদল ছেঁচড়া সন্ত্রাসী। নিজেদের “শীর্ষ সন্ত্রাসী” খেতাব দিয়ে ভয় সৃষ্টি করে টাকা আদায়, জমি দখল, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তবে এবার সাধারণ মানুষ চুপ করে বসে নেই—ক্ষোভের আগুন জ্বলছে সর্বত্র। যেকোনো মুহূর্তে জনতার প্রতিরোধের মুখে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে এসব সন্ত্রাসীদের রাজত্ব।
জনতার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছেঃ স্থানীয়দের অভিযোগ, পল্লবী, আলীনগর, রূপনগরসহ আশপাশের এলাকায় এসব চিহ্নিত মাস্তানরা প্রতিনিয়ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থাকা এসব অপরাধী রাস্তা দখল, মাদক ব্যবসা, পরিবহন চাঁদাবাজি, বাসাবাড়ির ময়লা সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-আওয়ামী লীগ যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, এসব সন্ত্রাসীরা শুধু পয়সার জন্য ভাড়ায় খাটতে রাজি। তাদের কাছে নীতি নেই, আদর্শ নেই—শুধু লুটপাট আর ভয় দেখানোর ব্যবসা।
“শীর্ষ সন্ত্রাসী” খেতাবই আসল আয়!
আশ্চর্যের বিষয় হলো, এসব ছেঁচড়া সন্ত্রাসীরা চায়, সংবাদমাধ্যম তাদের “শীর্ষ সন্ত্রাসী” আখ্যা দিক। কারণ এতে তাদের “সন্ত্রাসী ব্র্যান্ড ভ্যালু” বাড়ে, আয়-রোজগার ভালো হয়! ছোটখাটো মাস্তান হয়ে থাকার চেয়ে “ভয়ঙ্কর” সন্ত্রাসী হওয়ার নাম কিনতে পারলে টাকার অঙ্কও বাড়ে। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন—জনতা তাদের আসল চেহারা বুঝে গেছে। গণমাধ্যমের সোচ্চার ভূমিকায় একাধিক সন্ত্রাসী এখন গর্তে ঢুকে আছে।
জনতার পাল্টা আঘাতের শঙ্কাঃ সম্প্রতি রূপনগরে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে গণধোলাই দেয় জনতা। তারপরে পল্লবীর কুখ্যাত মাস্তানরা আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছে। তারা এখন নিজেরা বের হয় না, বরং কিশোর গ্যাং দিয়ে নিয়ন্ত্রণ চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু এই চালাকি বেশি দিন টিকবে না, কারণ জনগণ এবার রাজপথে নামতে প্রস্তুত।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও জনতার ক্ষোভঃ ভুক্তভোগীরা বলছেন, থানায় গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, “জমি-জমা সংক্রান্ত মামলা কোর্টে যান।” অথচ এটা জমির বিষয় নয়, এটা প্রকাশ্য সন্ত্রাসী হামলা! পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় জনগণ এখন বিকল্প পথ ভাবছে—নিজেরা রাস্তায় নামবে, প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
শেষ হুঁশিয়ারিঃ পল্লবীতে ৫ আগস্টের পর একাধিক বাড়ি জবরদখল করা হয়েছে। প্রশাসন যদি এবারও চোখ বন্ধ করে রাখে, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। জনগণ আর নির্যাতন সহ্য করবে না। সময় থাকতে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নিলে, জনগণের প্রতিরোধ সুনামির মতো এসে সব সন্ত্রাসীদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলে, পালানোর পথ খুঁজে পাবে না এসব ছেঁচড়া সন্ত্রাসী!
Leave a Reply