স্টাফ রিপোর্টারঃ সমকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সত্যের সঙ্গে মিথ্যার অপলাপ এবং সেই মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বার্থে- মিথ্যা ও বানোয়াট কিছু বিষয়কে যদি প্রচার করে- বদনাম করা হয়, এতে একশ্রেণির মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ সহজতর হয়। এদেশে কিছুদিন যাবৎ এই অপপ্রচারের একটি ট্রেন্ড চলে আসছে, যেখানে দেখা যায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ এবং জনপ্রিয় ব্যক্তি কিংবা দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতেও একটি গোষ্ঠী দ্বিধাবোধ করছে না। স্বাভাবিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার হীন মানসিকতা নিয়ে- কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন- আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে, গোটা রাজনৈতিক মাঠকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন চৌদ্দগ্রাম বিএনপির নেতা মোঃ কামরুল হুদা।জনপ্রিয়তার দিক থেকে খুবেই শক্তিশালী কামরুল হুদা রাজনীতির পাশাপাশি দীর্ঘদিন থেকে সমাজ সেবার মধ্যদিয়ে একজন পরীক্ষিত নেতা হিসেবে মানুষের মনে স্থান দখল করে রেখেছেন। কামরুল হুদা এবং বিএনপির জনপ্রিয়তা দেখে দিশেহারা হয়ে উঠেছে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা। ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে জামায়াত নেতারা তাদের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ বিএনপিকে রাজনৈতিক মাঠে দূর্বল করার বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং বিভিন্ন সভা সভাবেশে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা সরাসরি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামরুল হুদার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মিথ্যাচার এবং বদনাম মূলক অপ্রচার চালিয়ে আসছে। জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহেরের পারিবারিক একটি সূত্র জানায়, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পলাতক থাকা কয়েকজন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সাবেক চেয়ারম্যানরা ইতিমধ্যে তাদের সাথে গোফনে যোগাযোগ করেছেন। কয়েকজন সাবেক চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে ওই নেতা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তাদেরকে মন্দ বলার সুযোগ নেই। তিনি কয়েজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে ভাল বলে প্রশংসাও করেছেন। তাদেরকে অন্তরালে রেখে আগামী নির্বাচনের চক তৈরী করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছেন। সূত্র আরো জানায়, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নির্বাচন করবে জামায়াত। নির্বাচনের পর তাদের উপর স্ট্রীম রুলার চালানো হবে বলে বিশ্বসূত্র জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা গণমানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে, দীর্ঘ ১৭/১৮ বৎসর আন্দোলনের মাঠে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে- বিশ্বস্থতার সাথে বিএনপির দায়িত্বও পালন করে আসছেন। কামরুল হুদার অর্জিত জনপ্রিয়তার দাপটে আগামী নির্বাচনে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের নেতারা কোনঠাসা হয়ে পড়বে বলে অনেকে ধারনা করছেন।
জানা গেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন মনোভাব নিয়ে- দীর্ঘদিন থেকে কতেক নেতাকে অন্তরালে অর্থযোগান দিয়ে, চৌদ্দগ্রাম বিএনপিকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করে- চৌদ্দগ্রাম জামায়াত ইসলামীর শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মোঃ কামরুল হুদার জনপ্রিয়তাকে ধূলিসাৎ করার জন্য, মরিয়া হয়ে উঠেছে। জামায়াত ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহেরের এক ফোন আলাপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছে। তবে এ ধরনের প্রভাবশালী একশ্রেণির গোষ্ঠী বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ইচ্ছানুযায়ী আরেকটি রাজনৈতিক দল এবং গোষ্টিকে পর্দার অন্তরালে অর্থের লোভে জিম্মি করে, রাজনৈতিকভাবে বেকায়দায় ফেলে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে আসছে- এটা নতুন কিছু নয়।
Leave a Reply