নিজস্ব সংবাদদাতা : গাজীপুর জেলার টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন দাড়াইল এলাকার মৃত কুদরত আলী মন্ডল মাতব্বরের ছেলে কুখ্যাত ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও মাদকের গডফাদার মনোয়ার হোসেন খোকন (৪২)এর বিরুদ্ধে এ যাবত অনেক মামালা হয়েছে তবুও অদ্যাবধী বহু মামলার আসামী খোকন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছে। তাই খোকনের জুলুম ও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। খোকনের বেশীর ভাগ মামলাই টঙ্গী পশ্চিম থানায় হয়েছে আর উত্তরা পূর্ব থানার ২টি মামলার মধ্যে ১ টি রয়েছে হত্যা মামলা যার জিআর নং ১১৬, তাং ২১ আগষ্ট ২০২৪ এবং অন্যটি জিআর নং ১১৯, তাং ২২ আগষ্ট ২০২৪। বিগত আওয়ামীগ সরকারের আমলে প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে করেছিল নানা অপকর্ম। তখন সেই সব অপকর্মের ফিরিস্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল নানা গণমাধ্যমে। কিন্তু দুর্ধর্ষ খোকনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে দেখা যায়নি। গত জুলাই আন্দোলনের সময় খোকন এক ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানায় যা এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগেও প্রমান রয়েছে। খোকনের একনিষ্ঠ সহযোগীরা হচ্ছে আরিফ মিয়া(৩২) পিতা : মৃত কুদরত আলী,সুমন মিয়া(৩০) পিতা : মৃত আব্দুর রশিদ মিয়া,রানা মিয়া(২৭) পিতা : বাদশা মিয়া, আরিফ (২৫) পিতা : মৃত ময়েজউদ্দিন, খলিল মিয়া (৪০) পিতা : জয়নাল মিয়া,সুন্দর আলী (৪৮) পিতা : মৃত গাজী মিয়া, মিন্নত আলী (১৯) পিতা : শহিদ মিয়া, রাজিব মিয়া(৩০), নাজুল মিয়া (৪০)। এই কুখ্যাত খোকনের বিরুদ্ধে হত্যা,অপহরন, ভুমিদস্যুতা,চাঁদাবাজি সহ মাদকের বহু মামলা থাকার পরেও টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ কেন যেন খোকন কে গ্রেফতারের বিষয় তেমন কোন মাথা ঘামাতে চায় না বা আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনে অপারগতার পরিচয় দিতেছে যা সত্যিই রহস্যজনক। সুত্রে জানা যায় এই দুর্ধর্ষ খোকনের একজন সোমন্দি আছে পুলিশের তখনকার এএসপি সাইফুল ইসলাম। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় খোকন আজ লাগামছাড়া হয়ে পড়েছে। খোকন এস এন্ড পি বাংলা লিমিটেড নামের একটি পোষাক কারখানার অফিসার অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার হলেও তার সোমন্দি এএসপি সাইফুল ইসলামের সহযোগিতায় সহজেই বেরিয়ে আসে। খোকন আওয়ামীলীগের চিন্হিত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হওয়ার পরও বাঁচার জন্য বর্তমানে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে বলে জানা যায়। এখন সে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে তার সকল কুকর্ম। খোকনের আপন চাচাতো ভাই মোঃ মামুন মিয়া সরাফত পিতা : মৃত সুরুজ মিয়া,গ্রাম : দারাইল, সাতাইশ,টঙ্গী পশ্চিম থানা,ওয়ার্ড – ৫২ এর পৈত্রিক সুত্রে স্থায়ী বাসিন্দা। মামুন মিয়া কুখ্যাত ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী খোকনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অনেকটি মামলা করেও পাচ্ছে না কোন বিচার। খোকনের বিরুদ্ধে হত্যা করার চেষ্টা সহ ভূমিদস্যুতার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মামুন মিয়া। যাহা টঙ্গী পশ্চিম থানায় বিভিন্ন ঘটনার কারনে অনেক মামলাও করা হয়েছে। মামুনের উপর খোকনের নানা নির্যাতন ও ফসলি জমি সহ ভিটিবাড়ী জবরদখল করার বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে অনেক অনেক গনমাধ্যমে অপরাধের ফিরিস্তি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও খোকনের তেমন কোন পরিবর্তন হতে দেখা যায়নি বরং কিছু সাংবাদিকদের ভুমিদস্যু খোকন নানা রকম হুমকি ধুমকী দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যার ভয়েস রেকর্ডিং রয়েছে। ভুক্তভোগী মামুন মিয়া জানায় এ যাবত খোকন তার পৈত্রিক জমির ১০ কাঠা জায়গা ( ভিটেবাড়ীসহ) জোরপূর্বক দখল করে ভোগদখল করে চলেছে। এমন বাকী সম্পদের জন্য জীবন হারানোর ভয়ে আজ পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। গত ১৩ আগষ্ট মামুন মিয়াকে সন্ত্রাসী খোকন মিয়া তার দলবল নিয়ে মামুন কে প্রান নাশের চেষ্টাকালে ছুরিকাঘাতে আহত হয় যা টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের পুলিশ কেস সার্টিফিকেট দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১০/১৫৮ তাং ১৩/০৮/২০২৩ ইং। মামুন মিয়া মামলা করিলে সেখানে টঙ্গী পশ্চিম থানা খোকনের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা না নিয়ে বরং মামলার আসামী দ্বারা একটি কাউন্টার মামলা গ্রহণ করে। কোনভাবেই এই দুর্ধর্ষ খোকনের বিরুদ্ধে কেন কোন আইনী ব্যাবস্থা গ্রহন করছে না টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ সেটাই নানা মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাহলে কি এই কুখ্যাত ভুমিদস্যু অপরাধীকে কি আইনের আওতায় বিচার করতে কি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ। ভুক্তভোগী মামুন মিয়া আজ ভিটে বাড়ী হারিয়ে নানা রকম হয়রানি ও মারধরের শিকার হয়ে আজ ভীষনভাবে স্বর্বশান্ত ও ক্লান্ত। মামুন মিয়া বিচার পাওয়ার জন্য গাজীপুর প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কে লিখিতভাবে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করেও মিলেনি কোন ফলাফল। এমন কি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও পাঠানো হয়েছিল। যার প্রতিটির রিসিভ কপি রয়েছে। দেশের প্রশাসন যেন এই খোকনের শক্তির কাছে নিরুপায়। ভুক্তভোগী মামুনের পরিবারের আকুল আবেদন বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি যেন জরুরী হস্তক্ষেপ করে মামুন ও তার পরিবারের সবাইকে জীবনের নিরাপত্তা সহ সুবিচার করিবেন।
Leave a Reply