মো ইয়াকুব আলী তালুকদার: এ যেন রাস্তা নয় দেখতে অবিকল কোন নদী বা খাল কিংবা কোন জলাশয়। তার দুই পাশ দিয়ে পানির মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে অসংখ্য দোকান পাট ও বসতি ঘরবাড়ি। মানুষ চলাচল করছে হাটুপানি, কোমর পানির মধ্য দিয়ে। ঠিক এমনই এক চরম পরিস্থিতিতে মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন কলা বাঁধা গ্রামবাসী। নিরাপত্তাহীনতার চলমান চরম বিপর্যয় জীবন যাপনের এক নজির বিহীন প্রতিচ্ছবি!
আজ ০৩ আগস্ট রবিবার গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের কলা বাঁধা গ্রামের ঈদগাহ মাঠ রাস্তায় সামান্য বৃষ্টির পানিতেই ডুবে যায় পথ ঘাট ও রাস্তা। ডুবে যায় দোকান পাট ও বসতি ঘরবাড়ি এবং নষ্ট হয়ে যায় বিভিন্ন মালামাল! সামান্য বৃষ্টির সাথে সাথে এবং আশপাশে গড়ে ওঠা কলকারখানা ও বিভিন্ন ফ্যাক্টরির বর্জ্য পানি যুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার। খাল ভরাট করে কারখানা নির্মাণ এবং সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দেখে মনে হয় কোন নদী বা খাল কিংবা জলাশয়। এলাকার চিত্র হয়ে ওঠে যেন উপকুলীয় বন্যা কবলিত কোন এলাকা। চরম দুর্ভোগ আর বিভিন্ন অসুবিধার মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত করতে হয় তাদের!
এলাকাটি শিল্পাঞ্চল হওয়ায় ঘনবসতি ও জনবহুল এলাকায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার গাড়ী চলাচল করে এবং হাজার হাজার লোকজন চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। অসংখ্য মালবাহী যানবাহনও এই রাস্তায় চলাচল করে।
কিন্তু সামান্য বৃষ্টি আর কলকারখানার চলমান বর্জ্য পানিতে জলাশয় হয়ে থাকে মাঝে মাঝেই। কিন্তু নেই পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা। প্রতিদিন এই বর্জ্য পানির মধ্যে দিয়েই জনসাধারণকে যেতে হয় অফিস আদালত ও বাজারে। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় চলাচল করছে অসংখ্য শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ।
যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা। পানিতে ডুবে মারা যেতে পারে শিশু বাচ্চা এবং বয়স্ক মানুষ। হতে পারে মারাত্মক আহত। ডায়রিয়া, কলেরা, চর্মরোগ সহ আরও অসংখ্য রোগে আক্রান্ত হতে পারে এলাকার মানুষ। ঘটে যেতে পারে পরিবহন দূর্ঘটনা।
এমন পরিস্থিতি থেকে আদৌ কি পাবে মুক্তি! বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মৌচাক ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি এবং ইউনিট সভাপতি মো দিদারুল ইসলাম দিদার এবং জামিয়া শামসুন্নাহার মহিলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো রফিকুল ইসলাম এলাকার মানুষের এমন দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। এসময় এলাকার অসংখ্য জনসাধারণের একটাই দাবি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানান জোর দাবি।
Leave a Reply