মোসা: রিমি ইসলাম : পটুয়াখালী জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত কমিটিকে বরণ করে নিতে রাঙ্গাবালীতে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে আয়োজিত হলো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। রোববার দুপুরে রাঙ্গাবালী মডেল মাধ্যমিক বিদ‍্যালয় মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি।

ফুলেল শুভেচ্ছা ও প্রাণবন্ত আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে নেতৃবৃন্দকে বরণ করে নেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল রহমান ফরাজী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ হাওলাদার।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্রি। তিনি বলেন, “ধানের শীষের বিজয়ের জন্য এখন থেকেই মাঠে নামতে হবে। পটুয়াখালীর চারটি সংসদীয় আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হলে ঘরে ঘরে যেতে হবে, ভোটারদের মন জয় করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই বিজয় ছিনিয়ে আনতে প্রতিটি পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ধানের শীষের বিজয় মানে গণতন্ত্রের বিজয়। জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের সবাইকে ঘর ছাড়তে হবে, ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যেতে হবে। দলে বিভক্তি নয়, ঐক্যই হবে শক্তি।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন। তিনি বলেন, “তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের দল সংগঠিত হচ্ছে। তাঁকে শক্তিশালী করতে হলে জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত প্রতিটি ইউনিটকে আরও সক্রিয় করতে হবে। পটুয়াখালী ৬৪ জেলার মধ্যে বিএনপির মডেল জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সারা দেশের মধ্যে এ জেলার সাংগঠনিক সক্ষমতা উদাহরণ হয়ে উঠবে এটাই আমাদের লক্ষ্য।
তিনি সকলকে শৃঙ্খলা বজায় রেখে দলীয় গঠনতন্ত্র মেনে এবং জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারন করে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহবান জানান।পাশাপাশি, রাষ্ট্রবিরোধী বা অগঠনতান্ত্রিক কোনো কার্যক্রম থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেন।
এ সময় আর উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত পরিবেশে সম্পন্ন হয়!