1. mdmirhossainmolla.bd@gmail.com : admi2017 :
  2. editor@banglarrup.com : Banglar Rup : Banglar Rup
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খুনী শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়েই হচ্ছে ‘নতুন আওয়ামী লীগ’ কালীগঞ্জে দলিল লেখক সমিতির সভাপতির  আয়ের সাথে সঙ্গতি নেই সম্পদের মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব স্থগিত প্রেমিকের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, বাধা দিতেই স্বামীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে খুন জনপ্রিয় ইউটিউবারের আদালতে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে স্বামী দাবি মেঘনার গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ ভাঙ্গুড়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্গাকে কেন্দ্র করে ২ জন মহিলাকে বেধড়ক মারপিট রেলের ইঞ্জিন সংকট লাঘবে সচেষ্ট হতে হবে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি বয়ে আনুক হাতি কি হারিয়েই যাবে দেশ থেকে

অটোরিকশাচালক নাছিমার পাশে দাঁড়ালেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫
  • ৩৫ বার

আকতার হোসেনঃ সংগ্রামী নারী অটোরিকশা চালক নাছিমা আক্তারের পাশে দাঁড়িয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) জাহিদুল ইসলাম। গত ৫ মার্চ (বুধবার) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে নাছিমা আক্তারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন তিনি।

জানা গেছে, নাছিমা আক্তার স্বামীহারা দুই কন্যা সন্তানের জননী। তার স্বামী আব্দুল বারেক প্রায় এক দশক আগে মারা যান। সেই থেকে জীবনের কঠিন বাস্তবতার সঙ্গে লড়াই করে তিনি নিজের ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সমাজের প্রচলিত ধারণাকে অতিক্রম করে একজন নারী হিসেবে তিনি শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। যা নিঃসন্দেহে তার অদম্য সাহস ও সংগ্রামী মানসিকতার প্রতীক।
সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার মুফতির গ্রামের নাছিমা এখন সংসারের হাল ধরতে বাধ্য হয়েছেন। চিটাগাং রোডে চায়ের দোকানের পাশাপাশি অটোরিকশা চালিয়ে কোনো রকমে সংসার চালিয়ে নিচ্ছেন। ভাড়ায় অটোরিকশা চালিয়ে আয়ের সিংহভাগই দিতে হয় রিকশার মালিককে।
নাছিমা বলেন, প্রতিদিন ৫০০ টাকা রিকশার ভাড়া মালিককে দিয়ে দুইশ-তিনশ টাকা আয় থাকে। কোনো কোনো দিন জমার টাকাই ওঠে না। এছাড়া সময় পেলে ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকান চালান। আয় রোজগার কমে যাওয়ায় সম্প্রতি ভাড়া বাসা ছেড়ে চিটাগাং রোডে পরিত্যাক্ত সরকারি জমিতে বস্তি ঘর করে সেখানেই কোনো রকম রাত পার করেন। তার বড় মেয়ে জ্যোৎস্নার বিয়ে দিয়েছেন অনেক ধার দেনা করে। কিন্তু ছোট মেয়ে ফারিহা আক্তার রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করে।
তিনি বলেন, কেউ যদি একটা অটোরিকশা কিনে দিতেন, তাহলে অন্তত প্রতিদিন রিকশার মালিককে দেওয়ার ৫০০ টাকা বেঁচে যেত। এতে অভাব অনটন কিছুটা হলেও দূর হতো। অনেকে আমার রিকশা চালানোর ভিডিও করেন। কিন্তু কেউ কোনো সাহায্য করেন না। তবে আজ ডিসি স্যার সাহায্য করলেন। আমি অনেক খুশি। আমি নামাজ পড়ে ডিসি স্যারের জন্য দোয়া করব।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম নাছিমার আত্মনির্ভরশীলতা ও দৃঢ় মনোবলের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাকে উৎসাহিত করেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2024
Theme Customized By BreakingNews