স্টাফ রিপোর্টারঃ ২৫শে ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চাঞ্চল্যকর ৮মার্ডার মামলার আসামী পতিত স্বৈরাচার সরকারের সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হকের আর্শীবাদপুষ্ট আলমগীর কবির মজুমদার’কে প্রধান আসামী করে ৯জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার সিএমএম কোর্টে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি দায়ের করেন চৌদ্দগ্রামের পাশাকোট (যশপুর) জামায়াতের রুকন মাওলানা আবু নাছের-এর স্ত্রী শাহীনুর আক্তার।
মামলার বিবরণে জানা যায়- বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ৫নং শুভপুর ইউনিয়নের পাশাকোট গ্রামের মাওলানা আবু নাছের যিনি ছাত্র শিবিরের সদস্য ছিলেন বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর রুকন। জামায়াতের রুকন হওয়ার সুবাদে তৎকালীন মুজিবুল হকের দোসর আলমগীর কবির মজুমদার ওরফে লুঙ্গি আলম তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বলে ‘জামায়াত না ছাড়লে তোকে এলাকায় থাকতে দিবো না’। মাওলানা নাছের বলেন -জীবন থাকতে তিনি জামায়াত ছাড়বেন না।
আবু নাছের অভিযোগ করেন- একদিন তিনি গ্রামে আসরের নামাজের ইমামতি করলে উক্ত লুঙ্গি আলম মুসল্লিদের বলে- তার পিছনে নামায হবে না। নামায পুনরায় পড়তে হবে। কারন জামাতীরা মুসলমান নয়-তাদের পিছনে নামায হবে না।
মসজিদের সামনে দরবার বসিয়ে সে রায় দেয়- আবু নাছের পরিবার নিয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে। এ রায় দিয়েই সে ক্ষান্ত হয়নি- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাওলানা আবু নাছের এর ছবি দিয়ে পেইজবুকে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ ব্যক্তিকে পাশাকোট গ্রাম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এরপর লোকবল নিয়ে মাওলানা আবু নাছের এর বাড়িতে হামলা চালায়। সে ঘরের এককোনে আশ্রয় নেয়। লুঙ্গি আলম ও তার লোকজন দরজায় লাথি মারলে মাওলানা নাছের এর ৪মাসের অর্ন্তসত্তা স্ত্রী শাহীনুরের তলপেটে আঘাত লাগে। এতে তাৎক্ষনিক তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরী অবস্থায় তাকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং গর্ভে থাকা ৪মাসের বাচ্চাটি মারা যায়। এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে মুজিবুল হকের নির্দেশে থানা বা কোর্ট মামলা নেয়নি। বর্তমানে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে মাওলানা আবু নাছের এর স্ত্রী শাহীনুর আক্তার কুমিল্লার সিএমএম কোর্টে মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৫৩/২৫। আদালত চৌদ্দগ্রাম থানাকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
Leave a Reply