নিজস্ব প্রতিবেদক: চিকিৎসা পেশার মতো সম্মানজনক পেশায় যুক্ত হয়েও বারবার বিয়ের মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন ডা. সিফাত তানজিলা। সম্প্রতি পঞ্চমবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন এই নারী চিকিৎসক। আর এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রজীবন থেকেই বেপরোয়া ও উশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন তানজিলা। বরিশালে এসএসসি পরীক্ষার আগেই তিনি প্রথমবার বিয়ে করেন। তবে সেই বিয়ে টেকেনি। এরপর এইচএসসি পাস করে দ্বিতীয়বার বিয়েও ভেঙে যায় অল্প সময়েই।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সহপাঠীর সঙ্গে তৃতীয়বার বিয়ে করেন তিনি। সেই সম্পর্কও স্থায়ী হয়নি। এমবিবিএস পাশ করার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতির সঙ্গে তার চতুর্থ বিবাহ হয়, যা কিছু বছর স্থায়ী ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর তিনি সেই স্বামীকে তালাক দিয়ে বিএনপি সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক নেতার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই ধারাবাহিক স্বামী পরিবর্তন ও রাজনৈতিক সুবিধাবাদী বিয়ের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন একজন চিকিৎসক হয়ে কীভাবে এতবার বিয়ে ও ডিভোর্সের মতো গুরুতর বিষয়কে এতটা হালকাভাবে নিতে পারেন?
তানজিলার বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সাদিয়া আক্তার তিথি (১৮) নামের এক কলেজছাত্রীর ভুল অপারেশন করে খাদ্যনালী কেটে ফেলেন ডা. সিফাত তানজিলা। পরবর্তীতে তিথির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহত তিথির পরিবার তাকে প্রধান আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করে, যা এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
এর পাশাপাশি, চারিত্রিক দুর্বলতা, হাসপাতালগুলোতে অস্থির আচরণ এবং দায়িত্বহীন চিকিৎসাসেবা প্রদানের অভিযোগে একাধিকবার চাকরি হারিয়েছেন তিনি। এমনকি সম্প্রতি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির দায়ে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলে, তিথির পরিবার একই শাস্তি দাবি করে ডা. তানজিলার জন্যও।
তবে সবকিছু পেছনে ফেলে বর্তমানে রাজধানীর ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালে তার নতুন বিএনপি-সম্পৃক্ত স্বামীর দাপটে চেম্বার পরিচালনা করছেন তিনি। ভুক্তভোগীদের শঙ্কা এভাবে চলতে থাকলে আরও কত জীবন তার ভুল চিকিৎসায় ঝরে যাবে?
এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ এবং তদন্ত দাবি করেছে সাধারণ মানুষ ও তিথির পরিবার।
Leave a Reply