উসামা বিন শিহাবঃ রাজধানীর পল্লবী থানার বাইতুর রহমত জামে মসজিদের বিপরীতে ১৯ নাম্বার পিলারের সামনে অবস্থিত, কাকলী টি এন্ড কপি হাউজে একটি সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর, দোকানের মালামাল ভাঙচুর ও লুটপাট করার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪ টার সময় গাজী নুরুজ্জামানের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পল্লবী থানার ১২ নাম্বার সেকশনের পূর্ব কুর্মিটোলা বস্তি এলাকার মৃত আবদুল মালেকের ছেলে গাজী নুরুজ্জামান বাদী হয়ে, একই এলাকার আশিক মিয়া(৩৫), রুমি বেগম(৩০), শাবানা(৩৫), রেশমী(৪০) কে বিবাদী করে পল্লবী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্র জানায়, কাকলী টি এন্ড কপি হাউজে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী বাহিনী অনধিকার প্রবেশ করে, গাজী নুরুজ্জামানের দোকানের কর্মচারী ইমনকে মারধর করতে থাকে। তাৎক্ষণাৎ নুরুজ্জামানের স্ত্রী নাসরিন তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে, সন্ত্রাসীরা লাঠি দিয়ে নুরুজ্জামানের স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারধর করে শারীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। সন্ত্রাসী রুমী আক্তার এসময় নুরুজ্জামানের স্ত্রী নাসরিনের চুল ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি করে। সকল সন্ত্রাসীরা নুরুজ্জামানের দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশে থাকা অনুমান ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়, দোকানের থাকা অনুমান ৫ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। নুরুজ্জামানের দোকানের ক্যাশ ভাঙচুর করিয়া ২ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এসময় নুরুজ্জামানের স্ত্রীর ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা নুরুজ্জামানকে এবং তার স্ত্রীকে সুযোগমতো ফেলে পুনরায় জানে মারার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এঘটনার বিষয়ে পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, প্রশাসনের নিকট এঘটার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তারা কাউকে কিছু জানার বা বোঝার সুযোগ না দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালায়। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মারামারি, চুরি, প্রতারণা এবং এনজিও মালামাল নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হতে হয়।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, এদের পরিবার নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না, কারণ প্রতিবাদ করলেই হামলার শিকার হতে হয়। এমনকি এনজিও’র মালামাল পাইয়ে দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আলম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply